সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর পর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি হতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। কেন্দ্র থেকে শিগগিরই মেডিকেল কলেজের কমিটি ঘোষনা হতে পারে এমনটা প্রচার পাওয়ার পর পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। শিক্ষাজীবন শেষে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া ছাত্রদের কমিটির নেতৃত্বে রাখা হতে পারে বলে প্রচার করা হচ্ছে।
এনিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন কলেজটির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সভাপতি ডা. তাজমীর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. রবিউল আলম, ডা. এস এম শাহীন আলাম ও ডা. মো. নাঈমুল আবছার সানিয়াত। তারা ২০২২-২০২৩ সেশনে ইন্টার্ন শেষ করে ডাক্তারি সনদ নিয়ে ছাত্রত্ব শেষ করেছেন।
বর্তমানে ডা. এস এম শাহীন আলাম কক্সবাজার সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ডা. তাজমীর রহমান ও ডা. রবিউল আলম ইউনিয়ন হাসপাতাল এবং ডা. মো. নাঈমুল আবছার সানিয়াত জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
বর্তমানে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন সভাপতি ডা. বোরহান উদ্দিন রাব্বি ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সিদ্দিক মো. আব্দুল্লাহ। তারা বলেন, আমরা ২০২৩-২৪ সেশনের দায়িত্ব নিয়েছি। আমাদের আগে সভাপতি হিসেবে ডা. তাজমীর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. রবিউল আলম দায়িত্ব পালন করেন। তারা ইন্টার্নশিপ শেষ করে ডাক্তারি সনদ নিয়ে ছাত্রজীবন শেষ করেছেন।
তথ্য মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ ও দায়িত্বশীল নেতাদের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে ২০১৮ সালে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। পরবর্তী অন্যান্য মেডিকেল কলেজের সঙ্গে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগকে কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে পদপ্রত্যাশীদের সিভি সংগ্রহ করেন। তারপরও নতুন কমিটি গঠন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদপ্রত্যাশী অনেকে জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতা রহস্যজনক কারণে অছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে। এতে প্রকৃত ছাত্ররা যেমন ছাত্রলীগবিমুখ হবে তেমনি ক্যাম্পাসে ভবিষ্যতে সংগঠনের নেতৃত্ব সংকটও দেখা দেবে। তাদের দাবি, ইন্টার্ন শেষ করা ছাত্রদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করা সম্ভব নয়। ফলে ছাত্রলীগকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে প্রকৃত ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হোক।
তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এম এ আহাদ চৌধুরী বলেন, আমরা কর্মিসভা শেষে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছি। তখন হয়তো অনেকে ইন্টার্ন করতেন। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব শেষ হতে পারে। কিন্তু আমরা যোগ্যদের নেতৃত্বে আনার সুপারিশ করেছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমাদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নেবেন।
অপর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর শিকদার বলেন, পদপ্রতাশীদের ছাত্রত্ব নিয়ে যে অভিযোগগুলো উঠেছে তা যাচাইবাছাই করার জন্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে তুলে ধরা হবে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগকে গতিশীল ও সু-সংগঠিত করতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। একজন ছাত্র লেখাপাড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত খরচ বহনের জন্য কাজ করতে পারেন। এটা দোষের কিছু না। কিন্তু ছাত্রত্ব শেষ হলে নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার যে অভিযোগ আসছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।